আজ অর্না আমার ছোট বোন সম মেয়েটির কথা লিখি, যা পড়ে অনেকেরই মনে হবে,আরে এতো আমার বড় চেনা……
একসময় কিশোর বয়সের ঘোর ভাঙে অর্ণার,৭ বছরের প্রতিশ্রুতিহীন প্রেমের সম্পর্কে ‘শেষের কবিতার’ অমিত আর লাবণ্যর খেলায়ও ক্লান্তি আসে, তারপর জানতে পারে ৫ বছর বিদেশে থাকাকালীন অবীন বিয়ে করেছে। এর পরের বছরটা নিজেকে বেশ গুছিয়ে নেয় অর্ণা, পড়ালেখা সঙ্গীতচর্চা, পরিবারের সদস্যদের প্রতি মনোযোগী হতে দেখি ওকে, ভাল লাগছিল দেখে। মনে হচ্ছিল নিজের উপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রন এসেছে ওর। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আগের অর্ণা উকিঝুকি দিতে থাকে ওর মাঝে, আমি বুঝতে পারছিলাম দীর্ঘদিনের প্রেম ভেঙে যাওয়ায় বান্ধবীদের সকলের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় যে শুন্যতাটুকু তৈরী হচ্ছে ওর মধ্যে, সেটা শুধু কাজে ব্যস্ত থেকে ও পুরণ করতে পারবে না।
মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম চাকরীর সাথে সাথে কোন জীবনসঙ্গী যেন ও খুজে পায়। কিন্তু তেমন হচ্ছিলনা, আর ওর মন অপেক্ষার পথকে দীর্ঘ বলে ভাবছিল। বুঝতে পারছিলাম কেবল মনের ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছুকেই দামী মনে করছেনা ও, আর ওর জন্য এটা সহজ করে দিচ্ছে ওর চারপাশের মানুষ, যারা নৌকার পালে হাওয়া দেয়ার আলাপ করে কিন্তু শক্ত করে হাল ধরবার গুরুত্বের কথা বলেনা, কুসংস্কারের সাথে সাথে সুসংস্কারগুলিকেও সেকেলে মনে করে যারা ছুড়ে ফেলতে শেখায়। যাতে করে তারা তাদের অনিয়ন্ত্রিত বাসনা চরিতার্থ করার কাজে লাগাতে পারে অর্ণাদের মত মেয়েদের।
এমন এলোমেলো পরিস্থিতিতে দুই সন্তানের জনক মঈনের সাথে গল্প করতে করতেই একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে থাকে অর্ণা। ফোনে কথা দিয়ে যে সম্পর্কের শুরু,যার লাগাম, মাস গড়িয়ে বছর ঘুরে আটকানো ক্রমশ কঠিন হয়ে যেতে থাকে ।
প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে, বোন হিসেবে সতর্ক করি ওকে, বলি যে সম্পর্কর কোন পরিণতি নেই তাকে ছেঁটে ফেলো ।
মাঝে মাঝে ও আমার সাথে ফোনে কথা বলা বা দেখা করা বন্ধ করে দিলে ভয় পাই,মনে হয় ভুল কিছু করছে তাই কথা বলতে সংকোচ করছে, খারাপ লাগে ওর জন্য, কিন্তু পাড়াতো বোন, চাকরিজীবি, তার উপর ওর জীবন, ওর সিদ্ধান্ত, আমার জায়গায় দাড়িয়ে শুধু বারে বারে সতর্ক করা ছাড়া কিছু করবার থাকেনা ওর জন্য।
চোখের সামনে দেখতে পাই, মনকে ছাড় দিতে দিতে সম্পর্কের মাত্রাকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে করতে একে অন্যের প্রতি আসক্ত হয়ে গিয়েছে দুজন।অথচ মঈন যদি এখনকার স্ত্রীকে ছেড়ে অর্ণাকে বিয়ে করতে রাজীও হতো, অর্ণা তার সমাজ ছেড়ে মঈনের সমাজে গিয়ে তাকে বিয়ে করবার সাহস করতে পারতনা। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোন রকমের দায় নেয়া ছাড়া সম্পর্ক অথচ আমাদের ভোগবাদী সমাজে এখন এই সম্পর্কগুলোকে ভালবাসা নাম দিয়ে মহিমান্বিত করা হয়। শুরুতে যখন আমি দেখছিলাম ওরা রাতে গল্প করে ফোনে, আমি মানা করেছিলাম, বুঝিয়েছিলাম যে এ সম্পর্ক ঝুকিপুর্ণ ও অনৈতিক, ওকে বলেছিলাম আমরা শেষ পর্যন্ত মানুষ, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে কিছু দুর্বলতা আছে, নিজের শক্তির জায়গার সাথে নিজের দুর্বলতার জায়গাগুলো জানা খুব জরুরী যাতে সেগুলো ভুল মানুষের কাছে গিয়ে উন্মুক্ত হয়ে না পড়ে।
জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ওকে বলেছি, মানুষের সম্পর্ক কিছু ঢালে নামতে দিলে তা নিজের মোমেন্টামে চলে তখন সম্পর্কর গতিকে নিয়ন্ত্রন করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পরে। কিন্তু আমার কথাগুলো ও শুধু শুনত আর শেষ পর্যন্ত ও তাই করত যা ওর মন চাইত। আমি দেখতাম যখন ও আনন্দে থাকত আমাকে ফোন দিতনা, কারণ ও তখন ওর মধ্যে নেই কিন্তু যখন মঈন তার স্ত্রীর সাথে কোথাও ঘুরতে যেত, তাকে সময় দিত, তখন সে তার নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারত, ও ঠিক করত সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে আসবে, আমাকে ফোন দিত কান্নাকাটি করত, তারপর আবার দু’দিন পর ও ফোন বন্ধ করে রাখত। আমি দেখতাম একটা প্রচন্ড অস্থির সম্পর্কে দুইজন জড়িয়ে যাচ্ছে যেখানে আর যাই থাকুক শান্তি নেই। অর্ণাও বুঝতে পারল এক সময়, মঈনকে রাজি করাল যে এই সম্পর্কের কোন পরিণতি নেই কাজেই এখান থেকে বেরিয়ে আসা দুজনের জন্যই মঙ্গল, মঈন কান্নাকাটি করল কিন্তু সন্তানদের কথা এবং সর্বোপরি নিজেদের ভিতরের অলঙ্ঘনিয় এক দুরত্বের কথা ভেবে তা মেনে নিল।সবটা নতুন করে শুরু করবে এই চিন্তা থেকে বাবা মার পছন্দের ছেলে অপুর সাথে এনগেজমেন্ট হল অর্ণার।
কিন্তু এনগেজমেন্টের কয়দিন পরই যা হল তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা ও। যে প্রেমিক বলত অর্ণার জন্য জীবন দিতে পারে, সে কেবল নিজের আসক্তির জন্য অর্ণাকে ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠল। ওর কাছে পাঠানো অর্ণার মেসেজ, দুজনের ঘনিষ্ট ছবি মঈন অপুকে পাঠিয়ে দিল। এদিকে মঈনের স্ত্রী সহযোগিতার বদলে অর্ণাকে ফোন দিয়ে বলতে লাগল অর্ণা যেন মঈনকে বিয়ে করে। বলতে লাগল অর্ণা ও মঈনের পরকিয়ার কারণে মঈনের পারিবারিক জীবনও কোনদিন আর আগের মত হবেনা, অর্ণা বিয়ে করতে রাজী হলে সে মঈনকে ছেড়ে দিবে। কিন্তু অর্ণার কাছে মঈন তখন একটা আতঙ্কের নাম।
আমার সাথে ফোনে কথাগুলো বলবার সময় লজ্জায় অপমানে ভয়ে কাদছিল অর্ণা। বলল, “আপু বাচতে ইচ্ছে হচ্ছেনা কিভাবে মঈন এ কাজ করল।কিভাবে আমাদের এত ঘনিষ্ট ছবি, অডিয়, মেসেজ ও অপুকে দিল, আমরাতো কেউই কারো কাছে কোন কমিটমেন্ট করিনি কিন্তু আমি এ সম্পর্ক থেকে সবদিক সবার কথা ভেবে সুন্দরভাবে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম, এটাই কি আমার অপরাধ। এখন আমি বাবা মাকে কি ভাবে মুখ দেখাব, আমি আত্মহত্যা করব। আমি বাবা মাকে কি করে বলব কেন অপু আমাকে বিয়ে করতে চাইছেনা!”
আমি বললাম আমার মনে হয় তোমার বড় বোনের সাথে তোমার কথা বলা দরকার, তুমি যদি বলতে সংকোচ কর আমি বলতে পারি। অর্ণা প্রথমে চাইছিলনা আমি ওর বোনের সাথে কথা বলি, দুজনের মধুর সম্পর্ক থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে যত্নের অভাবে সম্পর্কটা শীতল হয়ে পড়েছে। তবুও বললাম দেখ ও তোমার জন্য যতদুর যেতে পারবে, আমার জায়গা থেকে আমি পারবনা, আর সবচেয়ে বড় কথা ও তোমাকে ভালবাসে,আমাদের যে কারো চেয়ে অনেক বেশি ভালবাসে। আর পরিবারের সবার থেকে দিনের পর দিন মিথ্যা বলে যে বিশ্বাষ তুমি হারিয়েছ তা তোমাকে নিজেরই অর্জন করতে হবে।কিন্তু এই মুহুর্তে তোমার পরিবারই তোমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু হতে পারবে। এভাবে ওর অনুমুতি নিয়ে আমি ফোন দিলাম ওর বড় বোন তূর্ণাকে।
যতদুর সম্ভব গুছিয়ে বললাম একটা ভুল সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে কী ধরণের বিপদের সম্মুখীন হয়েছে ও। ও বলল বেশ কিছুদিন ধরে কিছুটা আঁচ করছিল ও, আমি তুর্ণাকে বললাম যখন ও বুঝতে পারছিল তখন এ বিষয়ে অর্ণার সাথে প্রথম থেকে খোলামেলা আলোচনা করেনি কেন? ও কিছু বললনা, চুপচাপ শুনল। এরপর তূর্ণা অপুর সাথে কথা বলে এনগেজমেন্ট যতখানি ভাল ভাবে ভদ্রচিত উপায়ে লোক জানাজানি না করে ভাঙ্গা যায় সে ব্যবস্থা করল। কিন্তু মঈন তখন অর্ণার সকল বন্ধুদের কাছে ওদের দুজনের একান্ত মুহুর্তের সমস্ত ছবি ও মেসেজ পাঠাতে শুরু করল।
এতে কাজের কাজ একটা হল যে, যেটুকু অপরাধবোধ বা মায়া মইনের প্রতি অর্ণার অবশিষ্ট ছিল সেটুকু শেষ হয়ে গেল। সময়ের সাথে সাথে অর্ণা কাজে মনযোগী হল।চাকরী জীবনের একটার পর একটা সাফল্যে এই বিষয়গুলোও ধীরে ধীরে পিছনে পড়ে গেল। এক বছর অস্বাভাবিক ব্যস্ততার মধ্যে পার করল অর্ণা, কিন্তু এর পরে যত বিয়েই এসেছে, পাত্রকে একই মেসেজ দিয়ে সম্পর্ক আর এগোতে দেয়া হতোনা, অনেক বলা সত্বেও এই বিষয়গুলো অর্ণা ওর পরিবারের সবার কাছে গোপন রাখত। ও ভাবত ওর পরিবারের সবাই কষ্ট পাবে কিন্তু কার্যকরী সমাধান কেউ করতে পারবেনা।
আমি ওকে যতটুকু চিনেছিলাম মনে হচ্ছিল এই অসম্ভব ব্যস্ত জীবনে থেকে, কোন কিছু ঘটেনি জীবনে এমন একটা ভাব নিয়ে থাকতে থাকতে আবার কিছু দিনের মধ্যে ওর ক্লান্তি আসবে আর এই সংকটকে মোকাবেলায় ওর পরিবার যদি ওর পাশে না থাকে ও আবার সমস্যায় পড়বে । আন্টির সাথে রাস্তায় দেখা হল, আন্টির কথা শুনে মনে হচ্ছিল, অর্ণার জীবনের এমন একটা সংকটের কথা আন্টি দুঃস্বপ্ন মনে করে মাথা থেকে সরিয়ে ফেলেছেন ,পুরো ব্যাপারটা অর্ণার পরিবার যতটুকু পরিস্থিতির কারণে জানতে হয়েছে ততটুকুই জেনেই তারা ক্ষান্ত হয়েছেন এর বেশী কেউই জানবার চেষ্টা করে নাই, জানবার প্রয়োজন ও অনুভব করেনি। অর্ণা যেই জিনিসগুলোর ভিতর দিয়ে গেছে সেটার গুরুত্বও বুঝতে পারছেননা অর্ণার বাসার কেউই। মনটা খারাপ হয়ে গেল, কারণ আমি বুঝতে পারছিলাম অর্ণা আবার সমস্যায় পরবে।
এ ধরণের সম্পর্কগুলোতে এক ধরণের আসক্তি তৈরী হয়, আর সকলের মানসিক,শারিরীক এবং সামাজিক অবস্থান একই রকম শক্তিশালী থাকেনা। অর্ণাদের জন্য একটা শক্তিশালী স্বপ্ন বা জীবন দর্শন, যা এখান থেকে বের হয়ে নতুন সুস্থির জীবনে পৌছানো অনুপ্রেরণার যোগান দিবে তা না থেকে যদি বিপদে পরবার ফাঁদগুলো অর্ণার জন্য রাস্তায় রাস্তায় বিছানো থাকে এমন পরিস্থিতি থেকে থেকে বের হওয়া অর্ণাদের মত মেয়েদের জন্য দুরহ হয়ে যায়। অর্ণার ক্ষেত্রে ঠিক সেটিই হয়, কয়েকটি বিয়ের আলোচনা এভাবে ভেস্তে যাওয়ার পর আমি জানতে পারি অর্ণা আরেকটি বিবাহিত ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে, সেখানেও কোন প্রতিশ্রুতি ছাড়া সম্পর্ক, শুনে কষ্ট হয়, মনে হয় আমি অর্ণার বাসায় গিয়ে ওর বড় বোনকে একটু বলি,যেখানে সামান্য কোন শারীরিক অসুস্থতায় ও ডাক্তারের সাথে রুগীর ফলোআপ করতে হয়,সেখানে অর্ণা যে সংকট থেকে বের হলো তা পুরোপুরি বের হল কিনা, নতুন কোন সমস্যা করছে কিনা মঈন বা মঈনের স্ত্রী সে ব্যাপারে কেউ সচেতন থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখতে পেলোনা।
যে জিনিসটা দুর থেকে আমার চোখে পড়ে এত কাছে থেকে সে জিনিসটা বাড়ির কারো চোখে পড়লনা! অর্ণাকে অর্ণার সিদ্ধান্ত আর ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার অবস্থান থেকে ওর জন্য ভেবে ভেবেও কিছু করবার পথ খুজে পেলাম আমি। যখন নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল তখন মনে হয় অর্ণাকে নিয়ে লিখি যদি আর কোন অর্ণা বা তার পরিবার একটু সচেতন হতে পারে, সংকটের গোড়াটাকে চিনতে পারে, সামাজিক ট্যাবুর কারণে অনেক বিষয়ে কাছের মানুষেরাও আপনজনদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেনা। আর এই আলোচনা না থাকার কারণে যে সমস্যা শুরুতে সমাধান করা যায় তা ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করে। আলোচনা না থাকার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রাতের অন্ধকারে তুমি অচেনা লোকের দ্বারা বিপদে পড়তে পার, সমাজ অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেলেও আমাদের আত্মরক্ষার দর্শন এখানেই আটকে থাকে, কিন্তু নিজের জন্য বিপদ যে সবচেয়ে প্রথম নিজের থেকেই আসতে পারে, নিজের মনের ঘরের যেই জায়গাগুলো শক্ত প্রাচীরে ঘিরে দেয়া দরকার, আত্মরক্ষার জন্য শারিরীক শক্তির সাথে সাথে মানসিক ও চারিত্রিক দৃঢ়তা কেন এবং কিভাবে বাড়ানো দরকার,কি পরিস্থিতি না এড়ালে আমি নিজেই নিজের শত্রুতে পরিণত হতে পারি তা নিয়ে সমাজ আলাপ করতে চায়না, এড়িয়ে যেতে চায়।
কিন্তু সমাজের এই বাস্তব সংকটগুলো নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার কারণে,এ যুগে চলবার জন্য কোন শক্তিশালী অথচ সহজবোধ্য জীবন দর্শন না থাকার কারণে আমাদের মায়েদের আদরের রাজকন্যা রাজপুত্রদের জীবন বারে বারে পর্যদুস্ত হয়ে পড়ে, কাছের মানুষদের দ্বারাই, সহপাঠি, বন্ধু, আত্মীয়, ফেসবুক ফ্রেন্ড দ্বারাই অরক্ষিত হয়ে পড়ে কিশোর কিশোরীরা। একটি কিশোর বা কিশোরী যখন বড়দের জগতে প্রবেশ করে তখনো সে জানে না কোন স্পর্ষ তাকে কোন স্পর্ষের দিকে ঠেলে দিবে, কোন সম্পর্ক তাকে কোন জায়গায় এনে ফেলতে পারে তার একটা বড় কারণ তার জন্য স্পষ্ট করে বড়দের দুনিয়াটাকে জানবার এমনকি নিজেকে জানবার কোন সুযোগ নেই, অন্যকে নিয়ে জানাতো অনেক পরের ব্যপার। হাজার হাজার গোপনীয়তার বেড়াজাল পেরিয়ে যে সত্য তার কাছে ধরা দেয় তা বেশীরভাগক্ষেত্রেই অসচ্ছ, খন্ডিত বা বিকৃত। বহু মানুষ এই কিশোর বয়সে বিভিন্ন ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পরে, ভালবাসা ও সম্পর্কগুলো তার কাছে ভুল ভাবে ধরা দেয়। অনেক অর্ণা কিশোর বয়সে বিভিন্ন ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পরলেও পরিবারের সহায়তায় চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য বের হয়ে আসতে পারে আবার অনেকে অর্ণা এক অবীনের হাত থেকে আর এক অবীনের হাতে ধরা দেয় কখনোই সম্পর্কের সংকট থেকে বের হতে পারেনা। আমি মনে প্রাণে চাই কোন অর্ণার জীবনে যেন এ ধরণের সংকট না আসে, তাই বর্তমান যুগে সম্পর্কর যে সংকটগুলোতে আমরা জড়িয়ে পড়ি সে বিষয়গুলো নিয়ে একটা আলাপের ক্ষেত্র তৈরী করাটা পরিবার ও সমাজে অনেক বেশী জরুরী, এ আলাপ এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
Written by: Masha, Dhaka