আত্মহত্যা? আর না! এই শ্লোগানে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। আঁচল ফাউন্ডেশন এবং এফবিএস ডিবেটিং ক্লাব আত্মহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজন ভার্চুয়াল জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন টপিক নিয়ে বত্রিশটি টিমের অংশগ্রহণে অনলাইনে এ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রতিযোগিতার সমাপনী প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সাইফুল ইসলাম, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সোহেল মামুন সহ আরো অনেকে। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ খান বলেন ” আত্মহত্যা বর্তমানে এসে মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। দিন দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে এর প্রবণতাও বাড়ছে। সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক কারনে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই হার বাড়লেও সে অনুযায়ী বাড়ছে না সচেতনতা। মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুটাও এখনো অচ্ছুৎই থেকে যাচ্ছে। আঁচল ফাউন্ডেশন এবং এফবিএস ডিবেটিং ক্লাব এই ধরনের টপিক নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার হার মানুষের মাঝে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি। একই সাথে আত্মহত্যা নিয়ে যতবেশি কথা বলা হবে ততবেশি মানুষ সচেতন হবে।” অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন ” আমাদের শিক্ষার্থীরা বদ্ধ জীবনযাপনের কারনে মানসিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা দরকার।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল মইন বলেন ” শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়েও অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। শারীরিক সমস্যার সমাধান নিতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিতে কুণ্ঠাবোধ করি। সামাজিক এই প্রতিকূলতা ভেঙে দিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অন্যতম নিয়ামক হবে বলে মনে করি।”
আঁচল ফাউন্ডেশন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ক্যাম্পেইন, সেমিনার, কর্মশালা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা তারই অংশ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আর্থিক সহযোগিতায় ছিলো মেডিকিট কর্পোরেশন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পার্টনার ছিলো ডিবিসি নিউজ, প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার সমকাল এবং ব্লগ পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিলো পেনসিভ স্টোরিজ।